Header Ads

মৃত্যু পথযাত্রী ৩৬তম বিসিএস নন-ক্যাডার সুপারিশ বঞ্চিত প্রার্থীরা

BPSC-geniusmanik.blogspot.com

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও পিএসসির সদয়দৃষ্টি কামনা,

“কেউ পায় কেউ বা হারায়, কেউ চায় কেউ বা না চায়, কেউ থাকে সুখে কেউ বা থাকে দুঃখে, কেউ বঞ্চিতদের নিয়ে উপহাস করে কেউ বা তাদের জন্য সাহায্য করে, কেউ তাদের জন্য সুপারিশ করা দ্বায়িত্ব মনে করে কেউ বা বিষয়টা এড়িয়ে যেতে পছন্দ করে। যে যাই মনে করুক না কেন, আমরা জানা কথা বারবার জানাতে চাই, কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই” এমন কথাই বলেন একবঞ্চিত প্রার্থী। ৩৬তম বিসিএস নন-ক্যাডার সুপারিশ বঞ্চিত প্রার্থীদের দাবি কিন্তু অযুক্তিক নয় বলে বিশিষ্টজনরা মনে করেন।

২৮শে এপ্রিল,১৮ শনিবার সকাল ১১টায় জাতীয়প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ৩৬তম বিসিএস নন-ক্যাডার (সুপারিশ বঞ্চিত) প্রার্থীদের পক্ষে জহিরুল ইসলাম বলেন, আগামী ১০ মের মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির শূণ্যপদে ৩৬তম বিসিএস নন-ক্যাডার সুপারিশ বঞ্চিতদের নিয়োগের জন্য সুপারিশ করতে হবে বলে দাবি জানিয়েছেন। তা নাহলে মানববন্ধন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্মরিকলিপি প্রদান ও আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করবেন তারা। চরমভাবে বৈষম্যের শিকার হয়েছেন তারা, দাবি জানিয়ে জহিরুল ইসলাম বলেন, ৩৬তম বিসিএস ভাইভা পরিক্ষায় উত্তীর্ণ ৫হাজার ৬শত ৩৩জন প্রার্থীর মধ্যে ২হাজার ৩শত ২৩জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে, পদস্বল্পতার কারনে ৩হাজার ৩শত ৮জনকে নন-ক্যাডার তালিকায় রাখা হয়। তার মধ্যে ২হজার ৭শত জন প্রার্খী নন-ক্যাডারে চাকরির জন্য আবেদন করেন। দুই ধাপে ১হজার ২শত ৬৯জনকে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে নন-ক্যাডারদের সুপারিশ করা হয়। বাকী রয়ে যায় আরও ১হাজার ৪শত ৩১জন যা তাদের জন্য তীব্র জন্ত্রনার কারন বলে দাবি করেন। তারা বলেন, তিন বছর আপ্রাণ চেষ্টা করে ও কঠোর সাধনার পর বিসিএস ভাইভা পরিক্ষায় সফলণভাবে উত্তীর্ণ হয়ে আমরা কেন সুপারিশ থেকে বঞ্চিত হব? আমরাও ক্যাডরদের মত যোগ্য, তাদের থেকে সামান্য নম্বরের ব্যবধান ছাড়া কোনো ব্যবধান আছে বলে তারা মনে করেন না। সুপারিশ বঞ্চিত আরেকজন বলেন, কয়েকটি মন্ত্রণালয় থেকে ৩৬তম বিসিএস নন-ক্যাডারদের জন্য বরাদ্দকৃত পদ পিএসসিতে আসলেও বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে সেই পদগুলোর জন্য সুপারিশ করা হয়নি এর কারন কী? সুপারিশ না করার জন্য তারা তীব্র প্রতিবাদ করেন ও সাথে সাথে নিয়োগের দাবি জানান। বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায়, ৩৬তম বিসিএস নন-ক্যাডারদের জন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয় (যেমন-ভূমি মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, ব্যানবেইস, নিপোর্ট) থেকে বরাদ্দকৃত পদ থাকা সত্ত্বেও আমাদের সুপারিশ না করে পিএসসি নিজের আইনের প্রতি অসম্মান করেছে বলে তারা উল্লেখ করেন।
তারা মনে করেন পিএসসি আন্তরিকভাবে চেষ্টা করলে মাত্র ১হাজার ৪শত ৩১জনকে সুপারিশ করা কোনো ব্যাপার না। ফয়জুল ইসলাম, তাপসী রাবেয়া, ফেরদৌসী আক্তার, মো.মোজা্ম্মেল হোসেন, মো.ওবায়াদুর রহমান, মো.সফিউল আলম ও উপস্থিত অনেকে মনে করেন  যেহেতু চাকরির বয়স শেষ সেহেতু আর কোনো চাকরির আবেদন করতে পারবনা তাহলে আর এই বেকার জীবন দিয়ে কিহবে তার চেয়ে মরে যাওয়া ভলো। এত চেষ্টা ও সাধনার বিসিএস ক্যাডার হতে পারলাম না (আসলে যারা বিসিএসের জন্য পড়া্লেখা করে তাদেরকে এটানা ৩ বছর পড়ালেখা করতে হয়) নিজেদেরকে একটু সান্ত্বনা দিয়েছিলাম যে নন-ক্যাডার একটি চাকরি পাব, শেষ পযর্ন্ত তাও এখনো হচ্ছে না। বাংলাদেশের পড়ালেখা শেষ করে এখন বেকার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন ঘরে ঘরে চাকরি দিবেন কিন্তু তিনি কী ভুলে গেলেন? তারা আরো বলেন পিএসসি কী নিজের আইনের কথা নিজে ভুলে গেল? নন-ক্যাডারে সবাইকে সুপারিশ করার কথা? তাই তারা আকুল ভাবে আবেদন জানিয়েছেন তারাও যেন সুপারিশ প্রাপ্ত হন বঞ্চিত না হন। 





Please share this………..

No comments