অবশেষে ৩৬তম বিসিএস নন-ক্যাডার সুপারিশ বঞ্চিতদের আশ্বাস দিলেন পিএসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আ.ই.ম. নেছার উদ্দিন স্যার
BPSC-geniusmanik.blogspot.com |
অবশেষে ৩৬তম বিসিএস নন-ক্যাডার সুপারিশ বঞ্চিতদের আশ্বাস দিলেন পিএসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আ.ই.ম. নেছার উদ্দিন স্যার
২০শে
মে,১৮ রবিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় পিএসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আ.ই.ম. নেছার উদ্দিন স্যারের
অফিস রুমে ৩৬তম বিসিএস নন-ক্যাডার সুপারিশ বঞ্চিতদের পক্ষে ৫জনের সাথে কথা বলেন। ৫জনের
মধ্যে ছিল মো: জহিরুল ইসলাম, মো্: জাকিরুল আমিন, মো: মনোয়ারুল হাসান মানিক, মো: আব্দুর
রহিম দেওয়ান ও জহুরা খাতুন।পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক স্যার প্রথমে ৩৬তম বিসিএস নন-ক্যাডার
সুপারিশ বঞ্চিতদের কথা শুনেন।বঞ্চিতদের পক্ষে প্রথমে জহিরুল ইসলাম বলেন, “শূন্যপদ থাকা
সত্বেও কেন আমাদের সুপারিশ করা হচ্ছে না।শূন্যপদের তালিকা দেখিয়ে বলেন প্রতিটি উপজেলায়
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধানশিক্ষকের পদ খালি রয়েছে। কয়েকটি মন্ত্রণালয় থেকে ৩৬তম বিসিএস
নন-ক্যাডারদের জন্য বরাদ্দকৃত পদ পিএসসিতে আসলেও এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রথম শ্রেণি
ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদের সুপারিশ করা হয়, সময় না পাওয়ার কারনে সেই পদগুলোর জন্য সুপারিশ
করা হয়নি।এই পদগুলো ৩৬তম বিসিএস নন-ক্যাডার সুপারিশ বঞ্চিতদের দ্বারা পূরনের জন্য বিশেষভাবে
অনুরোধ জানান।” মো: জাকিরুল আমিন বলেন,“দীর্ঘ সময় পড়া-লেখা করে বিসিএসের মতো প্রতিযোগিতা
মূলক পরীক্ষায় প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরিক্ষায় পাস করেও আমরা কেন সুপারিশ থেকে
বঞ্চিত হবো।৩৫তম বিসিএস পরীক্ষা থেকে শতভাগ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে কিন্তু আমাদের নিয়োগের
জন্য সুপারিশ করা হচ্ছে না যা আমাদের জন্য খুব কষ্টের কারন। তাই তিনি আর বলেন, আমাদের
সাথে যেন অন্যায় না করা হয়।” এদিকে মো: মনোয়ারুল হাসান মানিক বলেন,“ আমাদের অনেকের
চাকরির বয়স শেষ, আমদের আর কোন আশা নেই ৩৬তম বিসিএস নন-ক্যাডার পদের চাকরি ছাড়া, আমাদের
দিকে মায়ার দৃষ্টিতে তাকান, আমাদের জন্য রহম করুন আল্লাহ আপনাদের রহম করবেন, সবাইকে
একদিন মারা যেতে হবে আর তার ভলো কাজগুলো রয়ে
যাবে। আমাদের মারা যাওয়া ছাড়া আর অন্য উপায় নেই। তিনি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক স্যারের
প্রশংসা করে আর বলেন, আপনি যতদিন ধরে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হিসেবে আছেন ততদিন যাবত আমরা
এর সুফল পাচ্ছি।তাই আপনি আমাদের একটা চাকরির জন্য সর্বাত্বক সাহায্য ও চেষ্টা করলে
চির কৃতজ্ঞ থাকবো।মো: আব্দুর রহিম দেওয়ান, বলেন আমি একজন শ্রবণ প্রতিবন্ধী আমাদের এলাকায়
প্রতিবন্ধী কৌটায় আমার সুপারিশ পাওয়ার কথা ছিল কিন্তু আমাকে সুপারিশ করা হলো না আমার
সাথে অন্যায় করা হয়েছ। এখন আমাদের জন্য কিছু একটা করেন।এদিকে ৩৬তম বিসিএস নন-ক্যাডার
সুপারিশ বঞ্চিতদের মহিলা প্রার্থীদের পক্ষে জহুরা খাতুন বলেন,“আমরা মহিলারা বিশেষ ভাবে বঞ্চিত হয়েছি,
কোনভাবে কোন চাকরি পাচ্ছি না, আমাদের চাকরির বয়স শেষ হয়ে যাচ্ছে, আমদের জন্য সাহায্য
করেন।
পরিশেষে,
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আ.ই.ম. নেছার উদ্দিন স্যার ৩৬তম বিসিএস নন-ক্যাডার সুপারিশ বঞ্চিতদের
পক্ষে তাদের কথা শুনার পর বলেন “আমরা এখানে আছি তোমাদের চাকরি দেওয়ার জন্য, আমরা চেষ্টা
করতেছি তোমাদের সুপারিশ করার জন্য কিন্তু আমরা যদি কোন মন্ত্রণালয় থেকে চাহিদা না
পাই তাহলে আমরা কীভাবে সুপারিশ করবো। তিনি আরো বলেন, তোমরা হতাশ হয়োনা দেখি চেয়ারম্যান
স্যারের সাথে কথা বলি ও এই্ বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করি, আশা করা যায় কিছু একটা হবে।”
৩৬তম
বিসিএস নন-ক্যাডার সুপারিশ বঞ্চিতদের পক্ষে মো: জহিরুল ইসলাম রবিবার সকাল ১১টায় পিএসির
সামনে ৩৬তম বিসিএস নন-ক্যাডার সুপারিশ বঞ্চিত প্রার্থীদের উপস্থিত থাকতে বলেন। সেই
অনুযায়ী তারা পিএসসির সামনে উপস্থিত হয়।১৪৩১জন সুপারিশ বঞ্চিতদের মধ্যে মাত্র ১৯/২০জন
প্রার্থী পিএসসি অর্ভ্যথনা কক্ষের সামনে অবস্থান করেন।তারা বারবার অনুমতি চেয়ে অনুমতি
না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়ে। ভাগ্যক্রমে সেইদিন পিএসসির একজন সদস্যের বিদায় অনুষ্ঠান থাকায়
পিএসসির চেয়ারম্যান স্যার বিকেল ৩টায় বের হয়ে আসে। ‡mB my‡hv‡M Zviv
†Pqvig¨vb m¨v‡ii mv‡_ K_v e‡jb Ges wZwb নেছান উদ্দিন স্যারকে বলেন বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার জন্য।পরে তিনি
৫জনের সাথে কথা বলার অনুমতি দেন এবং অনুষ্ঠান শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেন। পরিশেষে
তারা ৫জন বিকেল সাড়ে ৪টায় কথা বলার সুযোগ পায়। তবে পিএসসিতে আরো
উপস্থিত ছিলেন মো:আবু বকর ছিদ্দিক, মো: মোজাম্মেল হোসেন, মাহমুদ, মাসুদ রানা, নয়ন,
ইমাম হোসেন, মাইন উদ্দিন, আলফাজ হোসেন, আল-আমিন, গোলাম আজম, আবু রায়হান, কাউছার মামুন,
সফিউল আলম, রনি ও শামীম প্রমূখ প্রার্থীরা।
Post a Comment