৩৯তম বিশেষ বিসিএসের পরীক্ষার্থীদের জন্য ৫ পরামর্শ (5 suggestions for 39th Special BCS Candidates )
বুঝে পড়ার বিকল্প নেই
পুরোদস্তুর
ভালো ছাত্রী বলতে যা
বোঝায়, উর্মিতা দত্ত ঠিক তা-ই। মাধ্যমিক,
উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিসহ জিপিএ–৫, ঢাকা
মেডিকেল কলেজে ভালো ফলাফলের
জন্য প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক, ৩৭তম বিসিএসে স্বাস্থ্য
ক্যাডারে প্রথম হওয়ার গৌরব—সব আছে তাঁর
ঝুলিতে। আগামী
৩ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে
চিকিৎসকদের বিশেষ বিসিএস পরীক্ষা। উর্মিতা
দত্তের এই লেখা পরীক্ষার্থীদের
তো বটেই, নিশ্চয় সব
শিক্ষার্থীকেই অনুপ্রেরণা দেবে।
১.
সময় খুব কম। তাই
বলে উদ্বিগ্ন বা অস্থির হওয়ার
কিছু নেই। আবার একেবারে
হাল ছেড়ে দিয়েও তো
কোনো লাভ হবে না।
যে সময়টা হাতে আছে,
সেটারই সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার করতে হবে।
৩. ‘ক্লিনিক্যাল’ বিষয়গুলো থেকে কিছু কিছু প্রশ্ন আসার কথা। এ ক্ষেত্রে বলব, নতুন করে খুব বেশি কিছু পড়ার আর দরকার নেই। নিজের অভিজ্ঞতার ওপর ভরসা করেই এগুলোর মোকাবিলা করতে হবে।
৪. চিকিৎসাবিজ্ঞান ছাড়া অন্য বিষয়গুলো থেকে ১০০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে। গণিত আর বুদ্ধিমত্তার প্রশ্নগুলোর জন্য আগের বছরের সমস্যাগুলো সমাধান করাই যথেষ্ট। সবাই যেহেতু বিজ্ঞানের ছাত্র, তাই এ ক্ষেত্রে সমস্যা হওয়ার কথা না। বাংলা আর ইংরেজি—দুটোতেই জোর দিতে হবে ব্যাকরণের ওপর, এখানে সহজে নম্বর তোলা যায়। বাংলাদেশ থেকে প্রতিবারই কিছু বিষয় থেকে প্রশ্ন থাকে, এগুলো কোনোভাবেই বাদ দেওয়া যাবে না। যেমন সংবিধান, মুক্তিযুদ্ধ, সাম্প্রতিক কিছু উল্লেখযোগ্য বিষয়। আর আন্তর্জাতিক বিষয়ের পরিধিটা এত বড় যে এই অল্প সময়ে সব পড়ে শেষ করা সম্ভব না। বেছে বেছে পড়তে হবে। আন্তর্জাতিক সংস্থা, বিভিন্ন চুক্তি—এসব থেকে প্রশ্ন আসেই। এগুলো শেষ করার পর যদি সময় থাকে, তাহলে সাম্প্রতিক ঘটনাবলির ওপর একটু নজর রাখা দরকার।
৫. সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো কোনো প্রশ্নের উত্তরে কমপক্ষে শতকরা ৫০ ভাগ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত উত্তর দেবেন না। কারণ, ‘নেগেটিভ মার্কিং’–এর ধাক্কায় বাদ পড়তে পারেন। অনুমানের ওপর নির্ভর করার চেয়ে বুঝেশুনে উত্তর করতে পারলে পাসের সম্ভাবনা বাড়ে।
সর্বোপরি নিজের ওপর বিশ্বাস
রাখুন, স্রষ্টার ওপর ভরসা রাখুন।
চাপমুক্ত থাকুন। দিন শেষে
এটা শুধুই একটা পরীক্ষা।
আপনার সাফল্য কামনা করি।
সূত্র: প্রথম আ্লো
Post a Comment