পিতা-মাতা হওয়া বৃথা ইসলামের দৃষ্টিতে? শুধু কী সন্তান জন্ম দিলেই পিতা-মাতা হওয়া যায়? (পর্ব-২), Is the opinion of Islam to be a parent in vain? Only the birth, parents can be required? (Episode-2)
parents-geniusmanik.com |
এই সুন্দর পৃথিবীতে পার্থিব জীবনে আমরা পিতা-মাতা
হিসেবে আসলে কেমন, কেমন দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করি? পিতা-মাতা হিসেবে কতটা উপযুক্ত
বা পিতা-মাতা হওয়ার জন্য কতটুকু যোগ্য? শুধু সন্তান জন্ম দিলেই দায়িত্ব শেষ নাকি যেকোন
ভাবেই লালন পালন করলেই হবে? ইসলামের দৃষ্টিতে সন্তান হচ্ছে আল্লাহর এক বিশাল নিয়ামত।
আর এই নিয়ামত সঠিকভাবে লালন-পালন করতে ও পরিচালনা করতে, ইসলাম পিতা-মাতার প্রতি কিছু
দায়িত্ব ও কর্তব্য অর্পন করেছেন। তাই এখানে ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করা হচ্ছে। আজ ধারাবাহিক
আলোচনার ২য় পর্ব-
২. সন্তান জন্মদানের পরবর্তী দায়িত্ব: নেক ও সুসন্তান পারিবারিক ও সুশীল সমাজের জন্য এক অমুল্য সম্পদ। সন্তান ভালো হলে পিতা-মাতার আনন্দের শেষ থাকে না। যদি পিতা-মাতা হিসেবে নিম্নের গুরুত্বপূর্ণ দ্বায়িত্ব পালন না করেন, তাহলে সন্তান ভালো হওয়া খুব দুষ্কর হবে। তাই প্রত্যেক পিতা-মাতার উচিত সন্তান জন্মের পরে নিম্নের দায়িত্বগুলো বাস্তবায়ন করা।
i. একটি সন্তান মায়ের উদর থেকে জন্ম নেওয়ার সাথে সাথে ডান কানে আযান ও বাম কানে ইকামত শুনাবে।
ii. সন্তান জন্মের পর বুকের শাল দুধ পান করাবে। আল্লাহ
তালাহ বলেন,“মায়েরা তাদের সন্তানদের পূর্র্ণ দুই বছর বুকের দুধ পান করাবে।”
iii. সন্তান সম্ভাবনা মা যেন কোনভাবে বেগানা পুরুষের
দ্বারা পর্দার লঙ্গন না ঘটে। (সন্তান জন্মদানের সময় হোক অথবা জন্মদানের পরে হোক)
iv. সন্তান জন্মদানের সপ্তম দিনে ঐ সন্তানের একটি
ইসলামী সুন্দর নাম রাখবে । সুন্দর নাম সন্তানের জান্নাত লাভ, ভালো ও মন্দের প্রভাবের
কারন হয়ে দাড়ায়।
v. সপ্তম দিনে ঐ সন্তানের জন্য আকিকাহ প্রদান করবে।
এতে সন্তানের বালা-মুছিবদ দূর হয়।
vi.
সপ্তম দিনে ঐ সন্তানের মাথার চুল মুন্ডাতে হবে। মহানবী(স:)বলেন “প্রত্যেক শিশু সন্তানের
আকীকার জন্য সপ্তম দিনে পশু যবেহ করতে হবে, তার মাথার চুল মুন্ডাতে হবে এবং তার একটি
সুন্দর নাম রাখতে হবে।”(নাসায়ী হা: ৪১৪৯ ও আহমদ হা: ১৯৩৩)
vii. নব জাতকের মিষ্টিমুখ করানো। এ বিষয় আয়শা (রা:)
বলেন, রাসূল (সা:)এর কাছে একটি নবজাতকে আনা হলে তিনি বরকতের জন্য দোয়া করতেন এবং খেজুর,
আঙ্গুর বা মিষ্টি জাতীয় কিছু দ্বারা মিষ্টিমুথ করাতেন।
viii. সন্তান কথা বলতে শুরু করলে প্রথমে শিখাবে লা
ইলাহা ইল্লাহ’। কারন কালেমা তাইয়্যিবার প্রভাব তার সমগ্র জীবনে প্রতিফলিত হবে।
উক্তবিষয় পালন করলে উভয়ে অসীম সওয়াবের
অধিকরি হবে, চরিত্রবান জ্ঞানী ও গুণী সন্তান জন্ম লাভ করবে এবং শয়তান কোনরুপ অনিষ্ট
করতে পারবেনা। আজ এই পর্বে শুধু এই একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হলো, আগামী পর্বে পরবর্তী
দায়িত্বগুলো আলোচনা করা হবে। আশা করছি আপনারা আমাদের সাথে থাকবেন।
Post a Comment