স্থূলতা কমানোর প্রাকৃতিক সমাধান বা স্লিম হওয়ার সহজ কিন্তু কার্যকরী উপায় (Natural remedy to reduce of obesity or Easy to be Slim but effective ways)
Health-geniusmanik.com |
*স্থূলতা: সাধারণ একজন মানুষের বিএমআই(BMI) মতে স্বাবাবিক
ওজনের চেয়ে শতকরা ১০ ভাগ ওজন বেশি হলেই সে স্থূলতার অধিকারী। যার ফলে পেটের চামড়ার
ভাঁজ বাড়ে বেশি।
*যে কারনে
হয়: মানব দেহের হরমোন ও বিপাক জনিত সমস্যা
এবং বংশগত কারনে স্থূলতা হতে পারে। অধিকাংশ বিশেষজ্ঞগণ মনে করেন মানুষের খাদ্যাভাসের
কারনে প্রায় সকল রোগ হয়ে থাকে। এর মধ্যে স্থূলতা অন্যতম।
*যে ঝুকিগুলো
রয়েছে: এনজাইনা পেকটোরিস, সেরিব্রাল থ্রম্বোসিস,
উচ্চ রক্তচাপ (High Blood pressure), ডায়বেটিকস, পিত্তথলিতে পাথর ইত্যাদি মারাত্মক
রোগ হওয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি ঝুকি থাকে একজন স্থূল দেহী মানুষের।
*স্থূলতা থেকে রক্ষা পেতে যা যা করতে হবে: কিছু খাবার বেশি করে খেতে হবে আবার কিছু
খাবার বাদ দিতে হবে আর কিছু খাবার সামান্য পরিমানে খেতে হবে। নিম্নে সেই খাবারগুলোর
নাম দেওয়া হলো-
*১. স্থূলদেহীদের
নিষিদ্ধ
খাবারের
তালিকা: চিনি, গুড়, গ্লুকুজ, সরবিটল, মিষ্টি, কফি,
চকলেট, কেক, পেষ্ট্রি, পুডিং, জ্যাম, জেলি, মধু, মিষ্টি বিস্কুট, কোক, ওভালটিন, হরলিকস,
সস, মিষ্টি আচার, মিষ্টি ফল, কোল্ড ড্রিংস, আইসক্রিম, আলু, মদ, ঘিয়ের পাক বা রান্না,
কচু ইত্যাদি।
*২. সামান্য
পরিমানে
খাবেন: ভাত, মাংস, দুধ, ডিম ইত্যাদি।
*৩. বেশি বেশি খাবেন: সব ধরনের শাক-সবজি, তরিতরকারী, লেবু, টমেটো,
শশা, সালাত পাতা, বাঁধা কপি, ফুল কপি, মূলা, লাউ বা কদু, শালগম তরমুজ, ছোট মাছ, ডিমের
সাদা অংশ, টক ফল, টক দই ইত্যাদি।
*৪. শারিরীক
পরিশ্রম: শারিরীক পরিশ্রম ছাড়া মানুষ কখনো সুস্থ্য
খাকতে পারে না। অণ্যতম শ্রেষ্ঠ একটি উপায় হলো এটি।
*৫. ব্যায়াম:
শারিরীক পরিশ্রম করার সুযোগ
না থাকলে ব্যায়াম করা ছাড়া আর বিকল্প উপায় নাই। সকালে বা বিকেলে নির্দিষ্ট সময় প্রতিদিন
ব্যায়ামের অভ্যাস অবশ্যই করতে হবে। তা নাহলে জীবনে স্থূলতা দূর করে স্লিম হওয়া সম্ভব
নয়।
*৬. চর্বিযুক্ত
খাবার: ১০০% পরিহার করতে হবে। তাছাড়া আজীবন কোটি
টাকার ঔষধ খেলে লাভ হবে না।
Post a Comment