Header Ads

বিসিএস লিখিত পরীক্ষার শেষ মুহূর্তে যা যা করবেন (মাত্র ২২টি টিপস)/ What to do at the last moment of the BCS written test (only 22 tips)

BPSC-geniusmanik.com

বিসিএস লিখিত পরীক্ষার শেষ মুহূর্তে যা যা করবেন (মাত্র ২২টি টিপস) 

মহান রাব্বুল আলামিন মহান আল্লাহ বলেন “মানুষ যা চায় তাই পায়”। তবে চাওয়ার সাথে পাওয়ার সামঞ্জস্য থাকতে হবে। তার জন্য চাই চেষ্টা আর সাধনা। সবাই একটি সত্য কথা সবাই জানে কিন্তু কেউ মানে না। অধ্যবসায় ছাড়া জীবনে সাফল্য আসে না। মনে করেন মৃত্যুদূত আপনার সামনে হাজির হয়েছেন, এমন সময় আপনি বাঁচার জন্য কেমন চেষ্টা করবেন?  একদিকে জীবন আর একদিকে মরণ এমন পরিস্থিতিতে প্রত্যেকটি মানুষ আপ্রাণ চেষ্টা করে। আপনাকে এমন চেষ্টা করতে হবে।

কবি বলেন, “দশ জনে পারে যাহা, তুমিও পারিনে তাহা।” ওরা যদি পায়, তবে আপনি কেন পারবেন না? সবোর্চ্চ সামর্থ্ দিয়ে পড়াশোনা শুরু করে দিন---এই মুহূর্ত থেকেই!
নিজের মতো করে কিছু টিপস দিচ্ছি। এগুলিকে আপনার মতো করে কাজে লাগাবেন।

১. ঘুরাফেরা বাদ দিন: নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া বাসা থেকে বের হওয়া একেবারেই বন্ধ করে দিন।

২. ঘুম কমিয়ে দিন: প্রতিদিন পড়াশোনা করুন অন্তত ১৬ ঘণ্টা; চাকরিটা ছাড়া সম্ভব না হলে অন্তত ৭ ঘণ্টা। এ সময়টাতে ৫ ঘণ্টার চাইতে বেশি ঘুম একধরণের বিলাসিতা। বিশ্বাস করে নিন, আপনি আপনার প্রতিদ্বন্দ্বীর চাইতে যত মিনিট কম ঘুমাবেন, উনার তুলনায় আপনার চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা তত পার্সেন্ট বেশি।

৩. সহজ বিষয় পড়ুন: একটা বিষয় পড়তে পড়তে ক্লান্ত হয়ে পড়লে আপনার পছন্দের সহজ বিষয়টি পড়া শুরু করুন।

৪. সামাজিকতা বাদ দিন: ফোন রিসিভ করা, ফেসবুকিং, সামাজিকতা কমিয়ে দিন। পড়ার টেবিল থেকে মোবাইল ফোনটি দূরে রাখুন।

৫. বিশেষ বিষয় গুরুত্ব দিন: অনুবাদ, অংক, ব্যাকরণ, মানসিক দক্ষতা প্রতিদিনই চর্চা করুন।

৬. টার্গেট নিয়ে পড়ুন: অমুক তারিখের মধ্যে অমুক সাবজেক্ট/ টপিক, যত কষ্টই হোক, শেষ করে ফেলবো, এই টার্গেট নিয়ে পড়ুন।

৭. বারবার পড়ুন: পড়ার সময় লিখে পড়ার তেমন প্রয়োজন নেই, বরং বারবার পড়ুন। প্রশ্ন অতো কমন আসবে না, আপনাকে এমনিতেই বানিয়ে বানিয়ে লিখতে হবে।

৮. সিদ্ধান্ত গ্রহন: মার্কস এবং প্রশ্নের গুরুত্ব অনুসারে কোন প্রশ্নে কত সময় দেবেন, এটা অবশ্যই ঠিক করে নেবেন।

৯. নিজের সাজেশনস্ নিজেই বানান: সব সাজেশনস্ই দেখবেন, কিন্তু কোনটাই ফলো করবেন না। আগের বছরের প্রশ্ন আর কয়েকটা সাজেশনস্ ঘেঁটে নিজের সাজেশনস্ নিজেই বানান।

১০. যেকোন একটি বই প্রথম থেকে পযর্ন্ত পড়ুন: রেফারেন্স বই কম পড়ে গাইডবই বেশি পড়ুন। ৫টি রেফারেন্স বই পড়ার চাইতে ১টি নতুন গাইডবই উল্টেপাল্টে দেখা ভাল।

১১. প্রাসঙ্গিকভাবে প্রচুর লিখতে হবে:  লিখিত পরীক্ষায় আপনাকে উদ্ধৃতি আর তথ্যউপাত্ত দিয়ে প্রাসঙ্গিকভাবে প্রচুর লিখতে হবে। বাংলায় গড়ে প্রতি ৩ মিনিটে এক পৃষ্ঠা, ইংরেজিতে গড়ে প্রতি ৫ মিনিটে এক পৃষ্ঠা---এই নীতি অনুসরণ করতে পারেন।

১২. যেকোন ভাষায় উত্তর করুন: যে ভাষায় আপনি অতি দ্রুত লিখতে পারেন, সে ভাষায়ই উত্তর করবেন। আমি উত্তর করেছিলাম বাংলায়।


১৩. সৃষ্টিকর্তার ইবাদত করুন: প্রতিদিনই প্রার্থনা করুন, সবার সাথে বিনীত আচরণ করুন। এটা আপনাকে ভাল প্রস্তুতি নিতে সাহায্য করবে।

১৪. যেটা পারেন না সেটা এখন বাদ দিন: যে জিনিসগুলি কিছুতেই মনে থাকে না, সে জিনিসগুলি মনে রাখার অতিচেষ্টা বাদ দিন। অন্যকেউ ওটা পারে মানেই আপনাকেও ওটা পারতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। পরীক্ষায় বিকল্প প্রশ্ন থাকে। আপনি যা পারেন, তা যেন ভালোভাবে পারেন, সেদিকে খেয়াল রাখুন।

১৫. টপিক অনুযায়ী বেশি পড়ুন: সবকিছু পড়ার সহজাত লোভ সামলান। বেশি পড়া নয়, প্রয়োজনীয় টপিক বেশি পড়াই বড় কথা।

১৬. আপনিই সেরা আত্মবিশ্বাস রাখুন: কারোর পড়ার স্টাইলকেই অন্ধভাবে ফলো করবেন না। রেজাল্টই বলে দেবে, কে ঠিক ছিল, কে ভুল ছিল। রেজাল্ট বের হওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত আপনি কারোর চাইতেই কোনো অংশে কম নন। ‘বেস্ট অ্যাচিভার’ হয়, কিন্তু ‘বেস্ট ক্যান্ডিডেট’ বলে কিছু হয় না।

১৭. দরকারি অংশগুলি দাগিয়ে রাখুন: অন্তত ৩-৪টি গাইডবই থেকে উত্তর পড়ুন। পড়ার সময় গোলমেলে আর দরকারি অংশগুলি দাগিয়ে রাখুন যাতে রিভিশন দেয়ার সময় শুধু দাগানো অংশগুলি পড়লেই চলে।

১৮. সামান্য রেস্ট নিন: দিনের বিভিন্ন সময়ে ব্রেক নিয়ে ১০-১৫ মিনিট করে অল্প সময়ের জন্য ঘুমিয়ে নিলে দুটো লাভ হয়। এক। রাতে কম ঘুমালে চলে। দুই। যতক্ষণ জেগে আছেন, সে সময়টার সর্বোত্তম ব্যবহারটুকু করতে পারবেন। ওরকম অল্প সময়ের কার্যকরী ঘুমকে ‘পাওয়ার ন্যাপ’ বলে।

১৯. বেশি পেপার পড়া বাদ দিন: অনলাইনে ৪-৫টি পেপার পড়ার সময় শুধু ওইটুকুই পড়ুন, যতটুকু বিসিএস পরীক্ষার জন্য কাজে লাগে। এই কয়দিন বিনোদন পাতাটি না পড়লে আপনার জীবনযৌবন ঊষর মরুভূমি হয়ে যাবে না।

২০. তিন বিষয়ে ভালো করার চেষ্টা করুন: বিসিএস পরীক্ষা হল লিখিত পরীক্ষার খেলা। ইংরেজি, গণিত, মানসিক দক্ষতা আর বিজ্ঞানে বেশি মার্কস তোলা মানেই অন্যদের চাইতে অনেকটুকুই এগিয়ে যাওয়া।

২১. দূশ্চিন্তা পরিহার করুন: এই সময়টাতে বিসিএস পরীক্ষায় দুর্নীতি, ভাইভাতে স্বজনপ্রিয়তা, সিভিল সার্ভিসের নানান নেতিবাচক দিকসহ দুনিয়ার যাবতীয় ফালতু বিষয় নিয়ে শোনা, ভাবা, গবেষণা করা থাকে নিজেকে বিরত রাখুন।

২২. মানসিক ও শারীরিক শক্তি ঠিক রাখুন: এই কয়দিনে আপনার প্রচণ্ড মানসিক ও শারীরিক কষ্টের মধ্য দিয়ে যাওয়ার কথা। ওরকমই হলে, আমি বলবো, আপনি ঠিক পথে আছেন। আমার অভিজ্ঞতা বলে, পরীক্ষার আগের সময়টাতে যে যত বেশি আরামে থাকে, পরীক্ষার রেজাল্ট বের হওয়ার পরের সময়টাতে সে ততোধিক কষ্টে থাকে। বেশি পরিশ্রমে কেউ মরে না।

যদি তা-ই হতো, তবে আমরা দেখতে পেতাম, পৃথিবীর সকল সফল মানুষই মৃত। কিন্তু সফল ব্যক্তিদের বেলায় এমন ঘটনা আজবদী ঘটেনি ঘটার সম্ভাবনাও নেই আপনাদের জীবনে। তাই সর্ব শক্তি দিয়ে প্রচেষ্টা চালিয়ে যান সফলা হাত ছানি দিয়ে ডাকছে। যে পরিশ্রম করে সৃষ্টিকর্তা তার প্রতি সদয় হন। দোয়া করি আপনার প্রতি যেন সদয় হন।

অপরকে জানান/ শেয়ার করুন…………




No comments