Header Ads

বিসিএস বা যেকোন পরিক্ষার জন্য সহজে সমাস চেনার উপায়/The easiest way to recognize about Compounded for BCS or any examintion


Compounded-geniusmanik.com

বিসিএস বা যেকোন পরিক্ষার জন্য সহজে সমাস চেনার উপায়

সমাস বাংলা ব্যাকরণের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় অনেকে বলে সমাস শিখতে ৬মাস লাগে
কিন্ত আজ এমন কিছু টেকনিক শেয়ার করব যেগুলো শিখলে ব্যাসবাক্য দেখলেই বুঝতে পারবে সেটা কোন সমাস
যদিও সব জায়গায় মিলবেনা কিছু ব্যাতিক্রম থাকবে এর পরেও যাদের কিঞ্চিত ধারণা পর্যন্ত নেই আশা করি তারা সামান্য হলেও উপকৃত হবে

দ্বন্দ্ব সমাস:

যেসব ব্যাসবাক্যের মাঝে "",, "আর",, "এবং" থাকবে সেগুলো দ্বন্দ্ব সমাস
যেমন: আয় ব্যয়=আয়ব্যয় ইতর ভদ্র=ইতরভদ্র

তৎপুরুষ সমাস:

) দ্বিতীয়া তৎপুরুষ : ব্যাসবাক্যের মাঝে "কে" থাকলে তা দ্বিতীয়া
যেমন: গাকে ঢাকা=গা-ঢাকা খোদাকে ভক্তি=খোদাভক্তি
) তৃতীয়া তৎপুরুষ : ব্যাসবাক্যের মাঝে "দ্বারা" "দিয়ে" থাকলে তা তৃতীয়া
যেমন: মধু দ্বারা মাখা=মধুমাখা ঘি দ্বারা ভাজা=ঘিভাজা মন দিয়ে গড়া=মনগড়া
) চতুর্থী তৎপুরুষ : ব্যাসবাক্যের মাঝে "জন্যে" "নিমিত্ত" আর বাক্যের প্রথম শব্দের শেষে "" থাকবে তখন চতুর্থী
যেমন: বিয়ের জন্যে পাগল=বিয়েপাগল হজ্জের জন্যে যাত্রা=হজ্জযাত্রা বসতের নিমিত্ত বাড়ি=বসতবাড়ি
) পঞ্চমী তৎপুরুষ : যে সব ব্যাসবাক্যের মাঝে "হতে" "থেকে" তা পঞ্চমী
যেমন: বিলাত থেকে ফেরত=বিলাতফেরত আদি হতে অন্ত=আদিঅন্ত
) ষষ্ঠী তৎপুরুষ : যে সব ব্যাসবাক্যে প্রথম শব্দের শেষে "" থাকবে কিন্ত জন্যে নিমিত্ত এগুলো থাকবেনা তখন ষষ্ঠী
যেমন: কর্মের কর্তা=কর্মকর্তা বিড়ালের ছানা=বিড়ালছানা
) সপ্তমী তৎপুরুষ : যেসব ব্যাসবাক্যে প্রথম শব্দের শেষে "" তথা "" ধ্বনি থাকবে তখন সপ্তমী
যেমন: কর্মে নিপুণ =কর্মনিপুণ দানে বীর=দানবীর গাছে পাকা=গাছপাকা
) উপপদ তৎপুরুষ : ব্যাসবাক্যের শেষে "যে" থাকবে সেগুলো উপপদ তৎপুরুষ
যেমন: জলে চরে যে=জলচর সত্য বলে যে=সত্যবাদী পকেট মারে যে=পকেটমার
) অলুক তৎপুরুষ : সমাস এবং ব্যাসবাক্য একই
যেমন: গায়েপড়া=গায়ে-পড়া ঘোড়ার ডিম=ঘোড়ার ডিম
১০) নঞ তৎপুরুষ: যেসব ব্যাসবাক্য "" বা "না" বোধক অর্থ দে
যেমন: না আচার=অনাচার নয় শুভ=অশুভ

কর্মধারয় সমাস:

 যেসব ব্যাসবাক্যের মাঝে "যাহা-তাহা","যিনি-তিনি","অথচ" অথবা বাক্যের মাঝে "যে" থাকবে তা কর্মধারয়
যেমন: যিনি জজ তিনি সাহেব=জজসাহেব মহান যে নবি=মহানবী শান্ত অথচ শিষ্ট =শান্তশিষ্ট
উপমিত কর্মধারয়: ব্যাসবাক্যের শেষে "ন্যায় " থাকে তা উপমিত কর্মধারয়
যেমন: পুরুষ সিংহের ন্যায়=সিংহপুরুষ
উপমান কর্মধারয়: ব্যাসবাক্যের মাঝে "ন্যায়" থাকে তা উপমান কর্মধারয়
যেমন: তুষারের ন্যায় শুভ্র=তুষারশূভ্র কুসুমের ন্যায় কোমল=কুসুমকোমল
রূপক কর্মধারয়: ব্যাসবাক্যের মাঝে "রূপ" শব্দ থাকবে
যেমন: মন রূপ পাখি=মনপাখি বিষাদ রূপ সিন্ধু=বিষাদসিন্ধু

বহুব্রীহি সমাস:

 ব্যাসবাক্যের শেষে "যার" বা "যে' থাকবে সেগুলো বহুব্রীহি যেমন: মহান আত্মা যার=মহাত্মা ইতিহাস সম্পর্কিত যা=ঐতিহাসিক
ব্যতিহার বহুব্রীহি: যেসব ব্যাসবাক্যের মাঝে এক শব্দ দু'বার আসবে
যেমন: কানে কানে যে কথা=কানাকানি কোলে কোলে যে মিলন=কোলাকুলি

দ্বিগু সমাস:

যেগুলো সংখ্যাবাচকের মত সেগুলো দ্বিগু
যেমন: শত অব্দের সমাহার=শতাব্দী সাত সমুদ্রের সমাহার=সাতসমুদ্র

অব্যয়ীভাব সমাস:

ব্যাসবাক্যের মাঝে "অভাব","সমীপে","সদৃশ","পর্যন্ত" শব্দ থাকবে সেগুলো অব্যয়ীভাব
যেমন: আমিষের অভাব=নিরামিষ কুলের সমীপে=উপকূল দ্বীপের সদৃশ= উপদ্বীপ মরণ পর্যন্ত=আমরণ

Please Share This…………..

1 comment

রাহুল ইসলাম said...

ধন্যবাদ। সমাস চেনার সহজ উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছি।