Header Ads

বিসিএস, ব্যাংক জব ও সকল চাকুরির জন্য সহজ বাংলা বানানের নিয়ম (পর্বঃ০২)/Simple Bengali spelling rules for BCS, bank jobs and all jobs (Part-02)


Simple Bengali spelling rules for BCS, bank jobs and all jobs
spelling rules-geniusmanik.com

বিসিএস, ব্যাংক জব ও সকল চাকুরির জন্য সহজ বাংলা বানানের নিয়ম (পর্বঃ০)

১৬. সমাসবদ্ধ পদ বহুবচনমূলক শব্দগুলোর মাঝে ফাঁক রাখা যাবে না যেমন চিঠিপত্র, আবেদনপত্র, ছাড়পত্র (পত্র), বিপদগ্রস্ত, হতাশাগ্রস্ত (গ্রস্ত), গ্রামগুলি/গ্রামগুলো (গুলি/গুলো), রচনামূলক (মূলক), সেবাসমূহ (সমূহ), যত্নসহ, পরিমাপসহ (সহ), ত্রুটিজনিত, (জনিত), আশঙ্কাজনক, বিপজ্জনক (জনক), অনুগ্রহপূর্বক, উল্লেখপূর্বক (পূর্বক), প্রতিষ্ঠানভুক্ত, এমপিওভুক্ত, এমপিওভুক্তি (ভুক্ত/ভুক্তি), গ্রামভিত্তিক, এলাকাভিত্তিক, রোলভিত্তিক (ভিত্তিক), অন্তর্ভুক্তকারণ, এমপিওভুক্তকরণ, প্রতিবর্ণীকরণ (করণ), আমদানিকারক, রফতানিকারক (কারক), কষ্টদায়ক, আরামদায়ক (দায়ক), স্ত্রীবাচক (বাচক), দেশবাসী, গ্রামবাসী, এলাকাবাসী (বাসী), সুন্দরভাবে, ভালোভাবে (ভাবে), চাকরিজীবী, শ্রমজীবী (জীবী), সদস্যগণ (গণ), সহকারী, আবেদনকারী, ছিনতাইকারী (কারী), সন্ধ্যাকালীন, শীতকালীন (কালীন), জ্ঞানহীন (হীন), দিনব্যাপী, মাসব্যাপী, বছরব্যাপী (ব্যাপী) ইত্যাদি  
ছাড়া যথাবিহিত, যথাসময়, যথাযথ, যথাক্রমে, পুনঃপুন, পুনঃপ্রকাশ, পুনঃপরীক্ষা, পুনঃপ্রবেশ, পুনঃপ্রতিষ্ঠা, বহিঃপ্রকাশ শব্দগুলো একত্রে ব্যবহার হয়
১৭. বিদেশি শব্দে -কার ব্যবহার হবে যেমন আইসক্রিম, স্টিমার, জানুয়ারি, ফ্রেরুয়ারি, ডিগ্রি, চিফ, শিট, শিপ, নমিনি, কিডনি, ফ্রি, ফি, ফিস, স্কিন, স্ক্রিন, স্কলারশিপ, পার্টনারশিপ, ফ্রেন্ডশিপ, স্টেশনারি, নোটারি, লটারি, সেক্রেটারি, টেরিটরি, ক্যাটাগরি, ট্রেজারি, ব্রিজ, প্রাইমারি, মার্কশিট, গ্রেডশিট ইত্যাদি
১৮. উঁঅ () ব্যবহার যোগে কিছু শব্দ এক্ষেত্রে অনুস্বার () ব্যবহার করা যাবে না যেমন অঙ্ক, অঙ্কিত, অঙ্কন, অঙ্কুর, অঙ্গ, অঙ্গন, আকাঙ্ক্ষা, আঙিনা, আঙুর (ঙ্গ বর্জন), আতঙ্ক, আশঙ্কা, ইঙ্গিত, উচ্ছৃঙ্খল, উলঙ্গ, কঙ্কাল, কঙ্কর, কামরাঙা (ঙ্গ বর্জন), গঙ্গা, গাঙ (ঙ্গ নয়), গাঙচিল (ঙ্গ নয়), চাঙ্গা, চোঙা, টাঙা, ঠুঙি (ঙ্গ নয়), ঠোঙা (ঙ্গ নয়), ঠোঙা, ডিঙা (ঙ্গ নয়), ডিঙি (ঙ্গ নয়), ডিঙানো (ঙ্গ নয়), ডিঙোনো (ঙ্গ নয়), দাঙ্গা, নোঙর (ঙ্গ নয়), প্রাঙ্গণ, প্রসঙ্গ, পঙ্ক্তি, পঙ্কজ, পতঙ্গ, ফিঙে (ঙ্গ বর্জন), বঙ্গ, বাঙালি, ভঙ্গ, ভঙ্গুর, ভাঙা, মঙ্গল, রঙিন (ঙ্গ নয়), রাঙা (ঙ্গ নয়), লঙ্কা, লঙ্গরখানা, লঙ্ঘন, লিঙ্গ, শঙ্কা, শঙ্খ, শৃঙ্খল, শৃঙ্গ, শশাঙ্ক, সঙ্গ, সঙ্গী, সঙ্গে, সঙ্ঘাত, হুঙ্কার, হাঙ্গামা, হাঙর (ঙ্গ নয়)
 
[দ্রষ্টব্য: অলংকার, অহংকার, কিংকর, ভয়ংকর, শংকর, শুভংকর, সংকুচিত, সংকীর্ণ, সংকীর্তন, সংকেত, সংকট, সংকর, সংকল্প, সংকুল, সংকলক, সংকলন, সংগীত, সংগম, সংঘ, সংঘাত, সংঘর্ষ শব্দে (অনুস্বার) ব্যবহার করতে হবে]

১৯. অনুস্বার () ব্যবহার যোগে কিছু শব্দ এক্ষেত্রে উঁঅ () ব্যবহার করা যাবে না যেমন কিংকর্তব্য, কিংকর্তব্যবিমূঢ়, কিংবদন্তি, সংজ্ঞা, সংক্রামণ, সংক্রান্ত, সংক্ষিপ্ত, সংখ্যা, সংগঠন, সংগ্রাম, সংগ্রহ, সংগৃহীত
[দ্রষ্টব্য: বাংলা বাংলাদেশ শব্দ দুটি অনুস্বার () দিয়ে লিখতে হবে বাংলাদেশের সংবিধানে তাই করা হয়েছে]
 
২০. ‘কোণ, কোন কোনো’-এর ব্যবহার: কোণ : ইংরেজিতে Angle/Corner () অর্থে কোন : উচ্চারণ হবে কোন্ ইংরেজিতে Which অর্থে বিশেষত প্রশ্নবোধক অর্থে ব্যবহার করা হয় যেমন তুমি কোন দিকে যাবে? কোনো : -কার যোগে উচ্চারণ হবে ইংরেজিতে Any অর্থে যেমন যেকোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও
২১. বাংলা ভাষায় চন্দ্রবিন্দু একটি গুরুত্বপূর্ণ বর্ণ চন্দ্রবিন্দু যোগে শব্দগুলোতে চন্দ্রবিন্দু ব্যবহার করতে হবে; না করলে ভুল হবে অনেক ক্ষেত্রে চন্দ্রবিন্দু ব্যবহার না করলে শব্দে অর্থের পরিবর্তন ঘটে ছাড়া চন্দ্রবিন্দু সম্মানসূচক বর্ণ হিসেবেও ব্যবহার করা হয় যেমন তাহাকে>তাঁহাকে, তাকে>তাঁকে ইত্যাদি  
২২. -কার: অনুজ্ঞাবাচক ক্রিয়া পদ এবং বিশেষণ অব্যয় পদ বা অন্য শব্দ যার শেষে -কার যুক্ত না করলে অর্থ অনুধাবনে ভ্রান্তি বা বিলম্ব সৃষ্টি হতে পারে এমন শব্দে -কার ব্যবহার হবে যেমন মতো, হতো, হলো, কেনো (ক্রয় করো), ভালো, কালো, আলো ইত্যাদি বিশেষ ক্ষেত্র ছাড়া -কার ব্যবহার করা যাবে না যেমন ছিল, করল, যেন, কেন (কীজন্য), আছ, হইত, হইল, রইল, গেল, শত, যত, তত, কত, এত ইত্যাদি
২৩. আলি প্রত্যয়যুক্ত শব্দে -কার হবে যেমন খেয়ালি, পুবালি, বর্ণালি, মিতালি, রুপালি, স্বর্ণালি, সোনালি, হেঁয়ালি ইত্যাদি
২৪. জীব, -জীবী, জীবিত, জীবিকা ব্যবহার যেমন সজীব, রাজীব, নির্জীব, চাকরিজীবী, পেশাজীবী, জীবিত, জীবিকা  
২৫. অদ্ভুত, ভুতুড়ে বানানে -কার হবে ছাড়া সকল ভূতে -কার হবে যেমন উদ্ভূত, ভূত, ভস্মীভূত, বহির্ভূত, ভূতপূর্ব ইত্যাদি
২৬. নীল অর্থে সকল বানানে -কার হবে যেমন নীল, সুনীল, নীলক, নীলিমা ইত্যাদি  
২৭. না-বাচক (নাই, নেই, না, নি) পদগুলো আলাদা করে লিখতে হবে যেমন বলে নাই, আমার ভয় নাই, আমার ভয় নেই, হবে না, যাবে না ইত্যাদি তবে সমাসবদ্ধ হিসেবে নি একসঙ্গে ব্যবহার করা যাবে যেমন করিনি, হয়নি ইত্যাদি
২৮. -তৎসম অর্থাৎ তদ্ভব, দেশি, বিদেশি, মিশ্র শব্দে -কার ব্যবহার হবে যেমন সরকারি, তরকারি, গাড়ি, বাড়ি, দাড়ি, শাড়ি, চুরি, চাকরি, মাস্টারি, মালি, পাগলামি, পাগলি, বোমাবাজি, দাবি, হাতি, বেশি, খুশি, হিজরি, আরবি, ফারসি, ফরাসি, ইংরেজি, জাপানি, জার্মানি, ইরানি, হিন্দি, সিন্ধি, ফিরিঙ্গি, সিঙ্গি, ছুরি, টুপি, দিঘি, কেরামতি, রেশমি, পশমি, পাখি, ফরিয়াদি, আসামি, বেআইনি, কুমির, নানি, দাদি, বিবি, চাচি, মাসি, পিসি, দিদি, বুড়ি, নিচু  
২৯. ত্ব, তা, নী, ণী, সভা, পরিষদ, জগৎ, বিদ্যা, তত্ত্ব শব্দের শেষে যোগ হলে -কার হবে যেমন দায়িত্ব (দায়ী), প্রতিদ্বন্দ্বিতা (প্রতিদ্বন্দ্বী), প্রার্থিতা (প্রার্থী), দুঃখিনী (দুঃখী), অধিকারিণী (অধিকারী), সহযোগিতা (সহযোগী), মন্ত্রিত্ব, মন্ত্রিসভা, মন্ত্রিপরিষদ (মন্ত্রী), প্রাণিবিদ্যা, প্রাণিতত্ত্ব, প্রাণিজগৎ, প্রাণিসম্পদ (প্রাণী) ইত্যাদি
৩০. , ঈয়, অনীয় প্রত্যয় যোগ -কার হবে যেমন জাতীয় (জাতি), দেশীয় (দেশি ), পানীয় (পানি), জলীয়, স্থানীয়, স্মরণীয়, বরণীয়, গোপনীয়, ভারতীয়, মাননীয়, বায়বীয়, প্রয়োজনীয়, পালনীয়, তুলনীয়, শোচনীয়, রাজকীয়, লক্ষণীয়, করণীয়
৩১. রেফের পর ব্যঞ্জনবর্ণের দ্বিত্ব হবে না৷ যেমন অর্চনা, অর্জন, অর্থ, অর্ধ, কর্দম, কর্তন, কর্ম, কার্য, গর্জন, মূর্ছা, কার্তিক, বার্ধক্য, বার্তা, সূর্য৷  
৩২. ভাষা জাতিতে -কার হবে যেমন বাঙালি/বাঙ্গালি, জাপানি, ইংরেজি, জার্মানি, ইরানি, হিন্দি, আরবি, ফারসি ইত্যাদি  
৩৩. ব্যক্তির '-কারী' বা ‘-আরী’-তে -কার হবে যেমন সহকারী, উপকারী, অধিকারী, আবেদনকারী, পথচারী, কর্মচারী ইত্যাদি এমনটা নয়সেখানে -কার হয় যেমন সরকারি, দরকারি, তরকারি, শিকারি ইত্যাদি

Please Share This...............

No comments