বিসিএস, ব্যাংক জব ও সকল চাকুরির জন্য সহজ বাংলা বানানের নিয়ম (পর্বঃ০৫)/Simple Bengali spelling rules for BCS, bank jobs and all jobs (Part-05)
spelling rules -geniusmanik.com |
৪৪. ম-ফলা, ব-ফলা ও য-ফলার উচ্চারণ:
ম-ফলার উচ্চারণ:
▓ পদের প্রথমে ম-ফলা থাকলে সে বর্ণের উচ্চারণে কিছুটা ঝোঁক পড়ে এবং সামান্য নাসিক্যস্বর হয়। যেমন— শ্মশান (শঁশান্), স্মরণ (শঁরোন্)। কখনো কখনো ‘ম’ অনুচ্চারিত থাকতেও পারে। বিশেষ করে যেমন— স্মৃতি (সৃতি বা সৃঁতি)।
▓ পদের মধ্যে বা শেষে ম-ফলা যুক্ত হলে উচ্চারণে সে বর্ণের দ্বিত্ব হয় এবং সামান্য নাসিক্যস্বর হয়। যেমন— আত্মীয় (আত্তিঁয়), পদ্ম (পদ্দোঁ), বিস্ময় (বিশ্শঁয়), ভস্মস্তূপ (ভশ্শোঁস্তুপ্), ভস্ম (ভশ্শোঁ), রশ্মি (রোশ্শিঁ)।
▓ গ, ঙ, ট, ণ, ন, বা ল বর্ণের সঙ্গে ম-ফলা যুক্ত হলে, ম-এর উচ্চারণ বজায় থাকে। যুক্ত ব্যঞ্জনের প্রথম বর্ণের স্বর লুপ্ত হয়। যেমন— বাগ্মী (বাগ্মি), যুগ্ম (যুগ্মো), মৃন্ময় (মৃন্ময়), জন্ম (জন্মো), গুল্ম (গুল্মো)।
ব-ফলার উচ্চারণ:
▓ শব্দের প্রথমে ব-ফলা যুক্ত হলে উচ্চারণে শুধু সে বর্ণের উপর অতিরিক্ত ঝোঁক পড়ে। যেমন— ক্বচিৎ (কোচিৎ), দ্বিত্ব (দিত্তো), শ্বাস (শাশ্), স্বজন (শজোন), দ্বন্দ্ব (দন্দো)।
▓ শব্দের মধ্যে বা শেষে ব-ফলা যুক্ত হলে যুক্ত ব্যঞ্জনটির দ্বিত্ব উচ্চারণ হয়। যেমন— বিশ্বাস (বিশ্শাশ্), পক্ব (পক্কো), অশ্ব (অশ্শো)। ▓ সন্ধিজাত শব্দে যুক্ত ব-ফলায় ব-এর উচ্চারণ বজায় থাকে। যেমন— দিগ্বিজয় (দিগ্বিজয়), দিগ্বলয় (দিগ্বলয়)।
▓ শব্দের মধ্যে বা শেষে ‘ব’ বা ‘ম’-এর সঙ্গে ব-ফলা যুক্ত হলে ব-এর উচ্চারণ বজায় থাকে। যেমন— তিব্বত (তিব্বত), লম্ব (লম্বো)।
▓ উৎ উপসর্গের সঙ্গে ব-ফলা যুক্ত হলে ব-এর উচ্চারণ বহাল থাকে। যেমন— উদ্বাস্তু (উদ্বাস্তু), উদ্বেল (উদ্বেল্)।
▓ ‘হ’-এর পর ব-ফলা থাকলে হ+ব-ফলা ‘ওভ’ উচ্চারিত হয়। যেমন— জিহ্বা (জিওভা), গহ্বর (গওভর), আহ্বান (আওভান) ইত্যাদি। য-ফলার উচ্চারণ:
▓ য-ফলার পর ব্যঞ্জনধ্বনি বা অ, আ, ও ধ্বনি থাকলে য-ফলা ‘অ্যা’ উচ্চারিত হয়। যেমন— ব্যবহার (ব্যাবোহার্), ব্যস্ত (ব্যাস্তো) ইত্যাদি।
▓ য-ফলার পরে ‘ই’ ধ্বনি থাকলে য-ফলা ‘এ’ উচ্চারিত হয়। যেমন— ব্যক্তি (বেক্তি), ব্যতীত (বেতিতো) ইত্যাদি।
▓ য-ফলা শব্দের মাঝে বা শেষে থাকলে ‘দ্বিত্ব’ উচ্চারিত হয়। যেমন— বিদ্যুৎ (বিদ্দুত্), বিদ্যা (বিদ্দা) ইত্যাদি।
▓ শব্দের প্রথমে য-ফলার সাথে উ-কার, ঊ-কার, ও-কার থাকলে য-ফলার উচ্চারণ হয় না। যেমন— দ্যুতি (দুতি), জ্যোতি (জোতি) ইত্যাদি।
▓ ‘হ’-এর পর য-ফলা থাকলে হ+য-ফলা ‘জ্ঝ’ উচ্চারিত হয়। যেমন— সহ্য (শোজ্ঝো), গ্রাহ্য (গ্রাজ্ঝো) ইত্যাদি।
▓ উদ্যোগ শব্দটির উচ্চারণ বাংলায় দুটি পাওয়া যায়— উদ্দোগ ও উদ্জোগ। তবে জনমনে বেশি প্রচলিত উদ্দোগ। অনেকের মতে উদ্যোগকে যদি সংস্কৃত ভেঙে উদ্যোগ রূপে লেখা হয়—তবে এর উচ্চারণ উদ্জোগ হবে।
▓ য বা য-ফলার আদি বা সংস্কৃত উচ্চারণ ‘ইঅ (ইয়)’। যেমন— যামিনী (ইয়ামিনি), শ্যাম (শিয়াম) ইত্যাদি।
[দ্রষ্টব্য: আমাদের অবশ্যই বাংলা বানান ও বাংলা বানানের উচ্চারণ সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। কারণ বাংলা বানান ও উচ্চারণের পার্থক্য রয়েছে। যেমন— আছ (আছো), দেখা (দ্যাখা), একা (অ্যাকা) ইত্যাদি।]
Post a Comment