জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে কিছু ভাইভার প্রশ্ন এবং উত্তর /Some viva questions and answers about Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে কিছু ভাইভার প্রশ্ন এবং উত্তর /Some viva questions and answers about Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman
জন্মঃ বুধবার
4 চৈত্র, 1326 বাং
17 মার্চ, 1920 ইং
25 জামাদিউস সানি, 1338 হিঃ
শাহাদাৎ বরনঃ শুক্রবার
29 শে শ্রাবন, 1382 বাং
15 আগস্ট, 1975 ইং
7 শাবান, 1395 হিঃ
♥♥♥ ৩২ নম্বর
বাড়ীর কি হৃদয় স্পর্শ
করেছে?
স্যার, যখন শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের ব্যবহৃত রান্না ঘরের পাশ দিয়ে শিড়ি বেয়ে উপরে উঠছিলাম, তখন এক অন্যরকম কষ্ট
অনুভব করলাম। ভাবললাম আমরা এমন এক হতভাগা এবং
অকৃতজ্ঞ জাতি যারা তাদের জাতির পিতাকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছি। দোতালায় উঠে যখন ড্রয়িং রুম অতিক্রম করছিলাম, তখন অবাক হলাম এই ভেবে যে
একজন প্রেসিডন্টের বাড়ি কিভাবে এত সাদামাটা হয়।
বঙ্গবন্ধুর শোয়ার ঘরে প্রবেশের আগে যখন দোতালায় ওঠার শিড়ির দিকে তাকালাম, তখন চাড়িদিকে গুলির চিহ্ন দেখে বুকটা দরফর করে উঠল। যে শিড়িতে বঙ্গবন্ধুকে
গুলি করে ফেলে রাখা হয়েছিলো, আজো সেখানে রক্তের কিছু ছোপ ছোপ দাগ রয়েছে। যখন সামনে এগিয়ে বঙ্গবন্ধুর শোয়ের ঘরে প্রবেশ করলাম, দেখলাম বঙ্গবন্ধুর রক্তমাখা লুঙ্গি এবং পাঞ্জাবি। আমি আর চোখের পানি
ধরে রাখতে পারলাম না........
♥♥♥~মুজিব বাহিনী~
১। মুজিব বাহিনীর প্রধান কে ছিলেন?
~শেখ ফজলুল হক মনি
২।মুজিব বাহিনীকে কার নেতৃত্বে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল?
~জেনারেল উবান
৩। মুজিব বাহিনী গঠনের উদ্দেশ্য কি ছিল?
~মুক্তিযুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলে নেতৃত্ব প্রদানের জন্য।
৪। মুজিব বাহিনী কাদের নিয়ে গঠিত হয়েছিল?
~আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সদস্যদের
নিয়ে।
♥♥♥ কিছু সাধাসিধা প্রশ্ন ও উত্তরঃ
★৮ আগষ্ট কেন
বিখ্যাত?
উঃ ৮ আগষ্ট বঙ্গমাতার
জন্মদিন।তিঁনি ১৯৩০ সালের ৮ আগষ্ট জন্মগ্রহণ
করেন।
★দেশ স্বাধীন হবার পর বঙ্গবন্ধু কেন
সরাসরি বাংলাদেশে আসেন নি?
উঃ ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু
পাকিস্তানের মিয়ানওয়ালী কারগার থকে মুক্তি লাভ করেন।পাকিস্তান থেকে সরাসরি বাংলাদেশ বা ভারত ফিরে
আসা পাকিস্তানের জন্য অপমানজনক ছিল।তাই পাকিস্তান বঙ্গবন্ধুকে একটি নিরপেক্ষ ভেন্যু নির্বাচন করতে বলেছিল। বঙ্গবন্ধু ভেন্যু হিসাবে ইংল্যান্ড কে বেছে নেন।আর
মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা দানের জন্য ভারতবাসীকে ধন্যবাদ জানাতেই তিঁনি ইংল্যান্ড থেকে ভারত হয়ে বাংলাদেশে আসেন।
★বঙ্গবন্ধুর রক্ষী বাহিনী গঠনের প্রয়োজন ছিল কতটুকু?
উঃ যারা তাদের জীবন বাজী রেখে দেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন, যারা এদেশের মাটিকে হানাদার মুক্ত করার জন্য বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছেন, তারা হলেন মহান মুক্তিযুদ্ধা।তাই নব্য স্বাধীনতা প্রাপ্ত দেশটির পুনর্গঠন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন শুধু মহান মুক্তিযুদ্ধাদের দিয়েই সম্ভব ছিল।তাই বঙ্গবন্ধু মহান মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে রক্ষী বাহিনী গঠন করেছিলেন।
★বাকশাল সমর্থন করেন কী?
উঃ বঙ্গবন্ধু ১৯৭৫ সালের ৭ জুনে বাশাল
গঠন করেছিলেন।মোদ্দা কথা হচ্ছে, যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশের দ্রুত পুনর্গঠনের জন্য বাকশালের প্রয়োজন ছিল।কারণ সেই সময়টা দলাদলি করার জন্য ছিলনা, বহুদল বহুমত তখন দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করত।তাই বঙ্গবন্ধু সকলকে সাথে নিয়ে খুব দ্রুত দেশটিকে সাবলম্বী করার জন্য বাকশাল গঠন করেছিলেন।
★বঙ্গবন্ধুর শেষ উক্তি কী ছিল?
উঃ তোমরা কি আমাকে খুন
করতে চাও? যাও।পাকিস্তান সেনাবাহিনী তা করতে পারেনি।তোমরা
কি তা করতে পারবে?
★বঙ্গবন্ধুই স্বাধীনতার ঘোষক প্রমাণ করুন।
উঃ ১৯৭১ সালের ৯ অক্টোবর পাকিস্তানের
আদালত মৃত্যুদন্ড প্রদান করে।তাঁর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ ছিল, তিঁনি পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে দেশদ্রোহিতার অপরাধ করেছেন।
মি. জিয়াউর রহমানের পৃষ্ঠপোষকতায় হাসান হাফিজুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ: দলিল পত্র বইটি সম্পাদনা করেন।বইটির ৩য় খন্ডের ১ম
পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন, ২য় পৃষ্ঠায় উল্লেখ
আছে মি. জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন।
বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট ২০০৯ সালের ২১ জুন এই
রায় প্রদান করে যে, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষক।
এগুলো থেকেই প্রমাণ হয় যে, ববঙ্গবন্ধু
স্বাধীনতার ঘোষক।
★১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণে
বঙ্গবন্ধু কেন সরাসরি স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি?
উঃ ৭ মার্চের ভাষণে
বঙ্গবন্ধু প্রত্যক্ষ স্বাধীনতার ঘোষণা থেকে বিরত থাকেন কারণ ২৫ মার্চ অ্যাসেম্বলির
তারিখ নির্ধারিত ছিল, তাই ৭ মার্চ স্বাধীনতার
ঘোষণা দিলে তিঁনি আন্তর্জাতিক সমর্থন হারাতে পারতেন।এছারাও হানাদার বাহিনী এই দিন সশস্ত্র
অবস্থায় ছিল, তারা ধরেই নিয়েছিল বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিবে এবং তারা নিরীহ বাঙালিদের উপর জাপিয়ে পরবে।তাই ৭ মার্চ বড়
ধরনের নাশকতা এরাতে তিঁনি সরাসরি স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি।
★বঙ্গবন্ধু কেন সেনাবাহিনীর চেয়ে রক্ষী বাহিনী আধুনিকায়নে বেশি মনযোগি ছিলেন?
উঃ বঙ্গবন্ধু সেনাবাহিনীর চেয়ে রক্ষী বাহিনী আধুনিকায়নে বেশি মনযোগি ছিলেন কথাটি মোটেও ঠিক নয়।বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার কিছুদিনের মধ্যে দেশের বেশ কিছু অঞ্চল, বিশেষ করে যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশালে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে থাকে।কিছুদিনের মধ্যে আরও কয়েকটি সমস্যা সবার দৃষ্টিগোচর হয়। একশ্রেণীর উচ্ছৃঙ্খল ছাত্র-যুবক মুক্তিযোদ্ধাদের নাম করে ঢাকা শহরে হাইজ্যাক করতে থাকে।
দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নের
মারাত্মক অবনতি ঘটতে থাকে। এ অবস্থায় সরকার
সম্পূর্ণ সরকারি নিয়ন্ত্রণে রক্ষীবাহিনী নামে একটি আধা সামরিক বাহিনী গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার কাজে এ বাহিনী বেসামরিক
কর্তৃপক্ষকে সাহায্য করবে এবং সরকারের নির্দেশক্রমে সামরিক বাহিনীকেও সাহায্য করবে। গোড়ার দিকে রক্ষীবাহিনী বেশ কিছু কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে অনেক অস্ত্রশস্ত্র, চোরাচালানের মালামাল উদ্ধার করে এবং মজুতদার ও কালোবাজারীদের কার্যকলাপ
কিছুটা প্রতিহত করতে সক্ষম হয়। কিন্তু খুব শীঘ্রই বাহিনীর ভাবমূর্তি নষ্ট হতে থাকে।<br>
আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও অর্থনৈতিক সংকট
গভীরতর হতে থাকলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রক্ষীবাহিনীর উপর তার নির্ভরতা থেকে সরে এসে প্রকাশ্যে তাদের বল্গাহীন কার্যকলাপের সমালোচনা করেন। তিনি সেনাবাহিনী ডেকে সরকারের ভেতর ও বাইরের অপরাধীচক্র
নিয়ন্ত্রণে আনার আদেশ দেন।
উপরের আলোচনা থেকে সহজেই অনুমেয় বঙ্গবন্ধু সেনাবাহিনীর চেয়ে রক্ষী বাহিনীর প্রতি বেশি মনোযোগী ছিলেন না।
★বাকশাল ঘটনাই কি বঙ্গবন্ধু হত্যার
মূল কারণ? হলে কেন? না হলে আসল
কারণ কী?
উঃ বঙ্গবন্ধু ও বাকশালকে নিয়ে
অনেক বছর অপপ্রচার চলেছে, বিশেষ করে বঙ্গবন্ধুকে ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট
সপরিবারে হত্যার পর। বঙ্গবন্ধু বিদ্বেষীরা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় তাঁর নেতৃত্ব এবং অতুলনীয় অবদানের কারণে তখন তাঁকে সহ্য করতে পারেনি। এখনো পারে না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তাঁর নাম
উচ্চারণ করাটা যখন নিষিদ্ধ ছিল, তখন তাঁকে আক্রমণ করার জন্য এই বাকশাল সৃষ্টিকেও
তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছে।বাকশাল কোনভাবেই বঙ্গবন্ধু হত্যার মূল কারণ নয়।
আসল কারণঃ
১) ইতিহাসের ২য় মিরজাফর খন্দকার
মোশতাকের বিশ্বাসঘাতকতা।যে কিনা বঙ্গবন্ধুর হত্যার পক্ষে মত দেয়।
২) দেশের মানুষের প্রতি বঙ্গবন্ধুর অতিরিক্ত বিশ্বাস।তাঁকে হত্যা করা হতে পারে এমন তথ্য RAW এর পক্ষ থেকে
জেনারেল কাউ ওনাকে দিয়েছিলেন।কিন্তু বঙ্গবন্ধু বিষয়টি আমলে নেননি।তিঁনি শুধু বলেছিলেন, আমার বাঙালিদের আমি চিনি।
৩) স্বাধীনতোত্তর বাংলাদশের রাজনীতি ও পররাষ্ট্রনীতি ভারত
ও রাশিয়ার বলয় দ্বারা প্রভাবিত ছিল।যদি বঙ্গবন্ধুকে সরিয়ে দেয়া যায় তবে স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি ক্ষমতায় আসবে এবং বাংলাদেশ রাশিয়ার বলয় থেকে বেরিয়ে আসবে।
★মিয়ানওয়ালী কারাগারে বঙ্গবন্ধু কিভাবে সময় কাটাতেন?
উঃ শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের মিয়ানওয়ালী কারাগারের ক্ষুদ্র কনডেম সেলে মুক্তিযুদ্ধের সময় আটক ছিলেন।মিয়ানওয়ালী কারাগার ছিল পর্বতমালায় ঘেরা। মিয়ানওয়ালী কারাগারে প্রতিদিন হাটাচলার জন্য শেখ মুজিবুর রহমানকে দেওয়া হয় ৫০ ফুট
লম্বা ও ১৬ ফুট
প্রশস্ত এক চিলতে জায়গা।সেলের
সামনে ছিল ১২ ফুট উচুঁ
কাটাতারের বেড়া।মিয়ানওয়ালী কারাগারের তৎকালীন জেল গভর্নর ছিলেন হাবিব খান।
Please share this post…………. collected
Post a Comment