যারা স্বপ্নের বাড়ী নির্মাণ করতে চান ও যারা সিভিল ইঞ্জিনিয়ার তাদের সবার এসব বিষয় জানা উচিত/All those who want to build a dream house and those who are civil engineers should know these things
যারা স্বপ্নের বাড়ী নির্মাণ করতে চান ও যারা সিভিল ইঞ্জিনিয়ার তাদের সবার এসব বিষয় জানা উচিত/All those who want to build a dream house and those who are civil engineers should know these things
■ ১০" ওয়াল গাথুনীতে প্রতি ০১' (স্কয়ার ফিট) গাথুনীতে ১০ টি ইট লাগে।
■ ০৫" ওয়াল গাথুনীতে প্রতি ০১' (স্কয়ার ফিট) > গাথুনীতে ০৫ টি ইট লাগে।
■ গাথুনীর প্লাস্টারে ০১ বস্তা সিমেন্টে ০৪ বস্তা বালি। তবে ০৫ বস্তাও দেওয়া যায়।
■ নিচের ছলিং এ প্রতি ০১' (স্কয়ার ফিট) এর জন্য ০৩ টি ইট লাগে।
■■ পিকেট ইট দিয়ে খোয়া করতে হয়।
■ ০৯ টি পিকেট ইট দিয়ে ০১ সিএফটি খোয়া হয়।
■ সিএফটি অর্থাৎ এক ঘনফুট।
■ এসএফটি অর্থাৎ দৈর্ঘ্য এবং প্রস্তের দিক দিয়ে।
■■ কলাম এবং লিংটেল এর হিসাব সিএফটি তে করতে হয়।
■ ইঞ্চিকে প্রথমে ফুটে আনতে হবে। ( ১০" ÷ ১২ = ০.৮৩৩)
■ এবং গাথুনীতে ও প্লাস্টারের হিসাব এসএফটি তে করতে হয়।
■¤১ ঘনমিটার ইটের গাথুনীর ওজন ১৯২০ কেজি।
■ ১ ব্যাগ সিমেন্টে পানি লাগে ২১ লিটার।
■¤১০০ এস,এফ,টি প্লাষ্টারে ১:৪ অনুপাতেঃ সিমেন্ট লাগে ২ ব্যাগ।
■ গাথুনীর প্লাষ্টারে ১:৫ অনুপাতে সিমেন্ট দিতে হয়।
■■ প্লাস্টারের ফ্রেশ সাইডে মসলার পুরুত্ব আধা ইঞ্চি এবং এর রাফ সাইডে মসলার পুরুত্ব পৌনে এক ইঞ্চি বা 15 মিমি . . সিলিং প্লাষ্টারে ১:3 অনুপাতে সিমেন্ট দিতে হয় এবং মসলার পুরুত্ব 6-7 মিমি . . বীম এবং কলাম সিলিং এর মতো
■ প্রতি এস,এফ,টি নিট ফিনিশিং করতে = ০.০২৩৫ কেজি সিমেন্ট লাগে।
■ মসলা ছাড়া ১ টি ইটের মাপ = (৯ ১/২"*৪ ১/২"*২ ৩/৪")
■ মসলাসহ = (১০"*৫"৩")
10 mm =1 cm
100 cm = 1 m (মিটার)
Convert
1" = 25.4 mm
1" = 2.54 cm
39.37" = 1 m
12" = 1' Fit
3' = 1 Yard (গজ)
1 Yard = 36"
72 Fit = 1 bandil.
■■ রডের হিসাব
1" = 8 sut (সুত)
1/2" = 4 sut (সুত)
1/4 = 2 sut (সুত)
1/8 = 1 sut (সুত)
.125"
■■ রডের ওজন
■ ৮ মিলি মিটার এক ফুট রডের ওজন = ০.১২০ কেজি।
■ ১০ মিলি মিটার এক ফুট রডের ওজন = ০.১৮৮ কেজি।
■¤১২ মিলি মিটার এক ফুট রডের ওজন = ০.২৭০৬ কেজি।
■ ১৬ মিলি মিটার এক ফুট রডের ওজন = ০.৪৮১২ কেজি।
■ ২০ মিলি মিটার এক ফুট রডের ওজন = ০.৭৫১৮ কেজি।
■ ২২ মিলি মিটার এক ফুট রডের ওজন = ০.৯০৯৭ কেজি।
■ ২৫ মিলি মিটার এক ফুট রডের ওজন =১.১৭৪৭ কেজি।
■■ খোয়ার হিসাব
■ ১ টি ইটে = ০.৯ cft খোয়া হয়।
■ ১০০ টি ইটে = ৯ cft খোয়া হয়।
■ ১০০০ টি ইটে = ৯০ cft খোয়া হয়।
■■ বালির হিসাব
■¤১০০ sft ৫" গাথুনীতে ১:৫ অনুপাতে সিমেন্ট লাগে ২ ব্যাগ।
■ ১০০ sft ১০" গাথুনীতে ১:৫ অনুপাতে সিমেন্ট লাগে ৪ ব্যাগ। বালু লাগে ২৪ cft।
■■ ঢ়ালাই এর হিসাব
■ ১০০ cft ঢ়ালাই এ ১:২:৪ অনুপাতে সিমেন্ট ১৭ ব্যাগ, বালু ৪৩ cft, খোয়া ৮৬ cft লাগে।
■ ১ cft ঢ়ালাই এ ১:২:৪ অনুপাতে সিমেন্ট ০.১৭, বালু ০.৪৩ cft, খোয়া ০.৮৬ cft লাগে।
■■ কোন কাজ কখন শুরু হবে তা নির্ধারণের জন্য আসলে একটি নির্মানক্রমের প্রয়োজন হয়। এই নির্মানক্রম কে ইংরেজিতে প্রকৌশলীরা ‘কনস্ট্রাকশন সিকোয়েন্স’ বলে থাকেন। বাড়ি তৈরীর নির্মানক্রমকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
■ ০১) কাঠামোগত বা স্ট্রাকচারাল কাজ।
■ ০২) সৌন্দর্য বর্ধণ বা ফিনিশিং কাজ।
এই দুই অংশ কে কয়েকটি ধাপে বা পর্যায়ে ভাগ করা যেতে পারে। যেমনঃ
🏠🏠🏠ক) কাঠামোগত বা স্ট্রাকচারাল কাজ। যথাঃ
■ ০১- সরঞ্জাম সন্নিবেশ বা সাইট মোবিলাইজেশন।
■ ০২- ভূমি জরিপ ও ভূগর্ভস্থ মাটি পরীক্ষা।
■ ০৩- আর্কিটেকচারাল, স্ট্রাকচারাল, প্লাম্বিং এবং ইলেকট্রিক্যাল নকশা চুড়ান্ত করা।
■ ০৪- ভবনের লে-আউট ও লেভেল দেয়া।
■ ০৫- পাইলিং করা (যদি প্রয়োজন হয়) ও মাটি কাটা।
■ ০৬- ফাউন্ডেশনের নিচে ব্লাইন্ড বা লীন কংক্রীট ঢালাই ও ইটের সোলিং করা।
■ ০৭- ফাউন্ডেশন ঢালাই।
■ ০৮- কলাম ঢালাই।
■ ০৯- বীম ও ছাদ ঢালাই।
■ ১০- মেঝেতে ইটের লে-আউট দেয়া।
■ ১১- ইটের গাঁথুনী করা।
🏠🏠🏠খ) সৌন্দর্য বর্ধণ বা ফিনিশিং কাজ। যথাঃ
■ ০১- দরজার চৌকাঠ লাগানো।
■ ০২- জানালার গ্রীল লাগানো।
■ ০৩- বাথরূম ও কিচেন সহ ছাদের বাগানের স্যানিটারী ও প্লাম্বিং এর সব ধরণের পাইপ ফিটিং করা।
■ ০৪- বৈদ্যুতিক সুইচবোর্ডের দেওয়ালের ভিতরের অংশ লাগানো।
■ ০৫- ভিতরের প্লাষ্টার করা।
■ ০৬- বাইরের দিকের প্লাষ্টার করা।
■ ০৭- কিচেন ও বাথরূমের বেসিন বা সিঙ্কের স্ল্যাব ঢালাই ও কনসিল অংশ লাগানো।
■ ০৮- থাই-এলুমিনিয়াম জানালা বা দরজা লাগানো (গ্লাস সহ)।
■ ০৯- বাথরূম ও কিচেনের দেওয়ালের টাইলস লাগানো।
■ ১০- সিলিং রং এর ১ম কোট দেয়া (সিলার বা পুটি সহ)।
■ ১১- ঘরের ভিতরে বা বাইরে মেঝেতে ও সিড়িতে বা লিফটের দেওয়ালে টাইলস বা মার্বেল লাগানো।
■ ১২- বৈদ্যুতিক তার টানা।
■ ১৩- বাইরের ও ভিতরের দেওয়ালের রং এর ১ম কোট দেয়া।
■ ১৪- দরজার পাল্লা ফিটিং করা।
■ ১৫- বাথরূম ও কিচেনের ফিটিংস লাগানো।
■ ১৬- বৈদ্যুতিক সুইচ বা সকেট লাগানো।
■ ১৭- টাইলসের পয়েন্টিং করা।
■ ১৮- ছাদের উপরের বাগানে মাটি ভরা ও সুইমিং পুলের টাইলস লাগনো।
■ ১৯- বেজমেন্ট বা ছাদের উপর পেটেন স্টোন করা।
■ ২০- কাঠের বার্নিশ ও দেওয়ালের চুড়ান্ত রং করা।
■■ কোয়ালিটি বা গুনগত মানঃ
ক) কনস্ট্রাক্শন এর পূর্বের কাজঃ
■ সয়েল টেষ্ট বা মাটি পরিক্ষাঃ
ভাল জিওটেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার দ্বারা মাটি পরিক্ষা করাতে হবে। কেননা এই পরিক্ষার উপর ভিত্তি করেই ইঞ্জিনিয়ার পরবর্তিতে ডিজাইন করবেন।
■ পানি টেষ্টঃ
কনস্ট্রাকশন কাজে যেই পানি ব্যবহার করা হবে তা অবশ্যই পরিক্ষা করে নিতে হবে। কেননা পানির গুনাগুনের উপর কংক্রিট এর গুনাগুন নির্ভরশীল।
■ পোকা-মাকড়ঃ
শুরুতেই যদি পোকা-মাকড় নিয়ন্ত্রন না করা যায় তাহলে ভবিষ্যতে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে।
খ) আর সি সিঃ
■ ডিজান ইঞ্জিনিয়ার প্রতিটি কাজের ধাপ গভীর ভাবে পর্যবেক্ষন করবেন এবং স্বাক্ষর দিবেন।
■ কংক্রিট এর সুষম মিশ্রন হতে হবে।
■ কংক্রিট ল্যব টেষ্ট করতে হবে নিয়মিত (সিলিন্ডার টেষ্ট)।
■ আর সি সি কাজে অবশ্যই ভাইব্রেটর ব্যবহার করতে হবে এবং এই ব্যবহার হতে হবে সঠিক।
■ সাটারিং অবশ্যই সময়ের আগে খোলা যাবে না।
■ কংক্রিট এর কিউরিং সঠিক সময়ে এবং সঠিকভাবে করতে হবে।
গ) ব্রিক ওয়ার্ক ও প্লাস্টারঃ
■ শুকনা ইট ব্যবহার করা যাবে না। ভেজা ইট ব্যবহার করতে হবে।
■ ১.২ মিটার এর বেশি উচ্চতায় একদিনে ইটের দেয়াল করা উচিৎ নয়।
■ ৫ ইঞ্চি দেয়াল এর ক্ষেত্র প্রতি ৩.৫ ফুট পর পর ৬ মিলি রড দেওয়া ভাল। এতে ক্র্যাক হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
■ জানালাতে সিল লেভেলে লিন্টেল ব্যবহার করা ভাল।
■ বিম এবং দেয়াল এর জয়েন্টে মর্টার সাথে ধাতু মিশ্রিত পানি প্রতিরোধক কেমিক্যাল ব্যবহার করা উচিৎ।
■ পাইপ এর উপর প্লাস্টার করার সময় চিকেন মেশ বা তার জালি ব্যবহার করতে হবে।
ঘ) প্লাম্বিং::
■ এমন উপাদান ব্যবহার করতে হবে যা সহজে ক্ষয় বা ছিদ্র হয় না।
■ প্রতিটি পাইপ এর প্রেসার বা চাপ শক্তি অবশ্যই পরিক্ষা করে নিতে হবে।
■ পানি প্রতিরোধী হতে হবে। অর্থাৎ পানি যেন চুইয়ে বাইরে না আসে সেদিকে খেয়ার রাখতে হবে।
■ বাথরুম বা গোসলখানা বা পায়খানাতে প্রয়োজনীয় স্লোপ বা ঢাল থাকতে হবে।
ঙ) ইলেকট্রিকঃ
■ ব্র্যান্ড ক্যাবল ব্যবহার করতে হবে।
■ সার্কিট ব্রেকার ব্যবহার করতে হবে। যাতে করে দুর্ঘটনা না হয়।
■ আর্থিং করতে হবে।
■ লাইটেনিং এরেস্টার বা বজ্রপাত প্রতিরোধক ব্যবহার করতে হবে।
চ) কর্মদক্ষতাঃ
■ দক্ষ কর্মি নিতে হবে।
■ সময় মত তদারকি করতে হবে।
ছ) ভাল মানের মালামালঃ
■ ব্র্যান্ড মালামাল ব্যবহার করতে হবে।
■ সব মালামাল গ্রহনের পুর্বে ভালভাবে পরিক্ষা করে নিতে হবে।।
■■ উপরোক্ত কাজগুলো পর্যায়ক্রমে সফল ও সুচারু ভাবে করতে পারলেই আপনার স্বপ্নের বাড়িটি হবে সুন্দর, টেকসই এবং মজবুত। আর আপনার শ্রম এবং অর্থ ব্যয় হবে যথার্থ!
■ সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন! শুভ কামনা সবার জন্য! সবাইকে ধন্যবাদ! আল্লাহ হাফিয।।
দয়াকরে শেয়ার করতে ভুলবেন না……………………
Post a Comment