Header Ads

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ৭ম গ্রেড-১০ম গ্রেডের জন্য সুযোগ পাবেন/ Government primary school teachers will get opportunity for 7th grade-10th grade

 

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ৭ম গ্রেড-১০ম গ্রেডের জন্য সুযোগ পাবেন/ Government primary school teachers will get opportunity for 8th grade-10th grade

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ৭ম গ্রেড-১০ম গ্রেডের জন্য সুযোগ পাবেন/ Government primary school teachers will get opportunity for 7th grade-10th grade

 

লেখাটি পড়ার জন্য সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি-

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের গ্রেড, পদোন্নতি নিয়োগবিধি নিয়ে কিছু কথাঃ

 

গ্রেডঃ সরকারি হাইস্কুল পুলিশ সাব-ইন্সপেক্টর নিয়োগসহ অন্যান্য বিভাগ বা দপ্তরে নিয়োগে স্নাতক ২য় শ্রেণি যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তিরা ১০তম গ্রেড প্রাপ্ত হন। এছাড়াও

(এসএসসি+কৃষি ডিপ্লোমা=১০গ্রেড) (এসএসসি+নার্সিং ডিপ্লোমা=১০গ্রেড)প্রাপ্ত হন। কিন্তু শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করে যাওয়া প্রাথমিক শিক্ষকেরা (স্নাতক ২য় শ্রেণি+শিক্ষায় ডিপ্লোমা) নিয়ে ১৩তম গ্রেড প্রাপ্ত হন।

 

পদোন্নতিঃ সরকারের অন্যান্য দপ্তর, বিভাগ বা মন্ত্রালয়ের সরকারি কর্মচারীগণ / বছরের মধ্যে পদোন্নতি পেলেও প্রাইমারি শিক্ষকদের পদোন্নতি অনেক দূর্লভ নির্মম জটিল। কেননা অনেক শিক্ষক১৭/১৮ বছর যাবৎ চাকরি করছেন এখনও পদোন্নতি পাননি। এছাড়াও এসএসসি এইচএসসি যোগ্যতা নিয়ে ১৭তম বা ১৬তম গ্রেড চাকরি করেও বিভাগীয় পরীক্ষা বা পদোন্নতির মাধ্যমে অফিসার বা কর্মকর্তা হচ্ছেন। আমরা তাদের সাধুবাদ অভিনন্দনজানাই।

অন্যদিকে প্রাইমারি শিক্ষকেরা উচ্চ যোগ্যতাসম্পন্ন হয়েও কর্মকর্তা পথে পদোন্নতির সুযোগ থেকে বঞ্চিত।

 

নিয়োগবিধিঃ ০৯আশ্বিন,১৪২৬বঙ্গাব্দ/২৪সেপ্টেম্বর ২০১৯খিষ্টাব্দ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা আছে-'বিভাগীয় প্রার্থী' অর্থ এরূপ কর্মচারী যিনি সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর বা দপ্তর এর রাজস্ব খাতে সৃষ্ট পদে অন্যুন (দুই) বৎসর স্থায়ী বা অস্থায়ী চাকুরিরত;কিন্তু খড়সা সমন্বিত নিয়োগবিধি২০১৯- সহকারী শিক্ষকদের বিভাগীয় প্রার্থীতা নেই।উল্লেখ্য ১৯৮৫,১৯৯৪,২০০৩ সালে প্রাথমিক গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে এবং সর্বশেষ ২৯জুন,২০১৫ খ্রিঃ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে সহকারী শিক্ষকদের সুযোগ ছিল।

  বর্তমানে নিয়োগ বিধিতে প্রধান শিক্ষকদের বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে ৪৫ বছর পর্যন্ত আবেদন করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।স্বাগত, অভিনন্দন শুভেচ্ছা রইলো তাদের জন্য কিন্তু আদ্যো কি বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে ৪৫বছর বয়সের মধ্যে মাঠ পর্যায় থেকে ওঠে আসা সহকারী শিক্ষক হতে পদোন্নতি প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিভাগীয় প্রার্থী হয়ে আবেদন করার সুযোগ পাবেন। যেখানে পদোন্নতিই রেয়ার। 


 
কিছু পাবেন হয়তবা যারা সরাসরি নিয়োগ বা বিসিএস নন-ক্যাডার থেকে এসেছেন। যা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনের সাথে সাংঘর্ষিক।

 

সামগ্রিক বিষয়ে আমার কিছু কথা শেয়ার করছি-

সরকারি চাকুরিজীবীদের সুযোগ সুবিধা লাভে বাংলাদেশ সংবিধানে সুস্পষ্ট ব্যাক্ষা রয়েছে। আপনাদের জ্ঞাতার্থে নিচে তা তুলে ধরছি।

সংবিধানের তৃতীয় ভাগ- মৌলিক অধিকার অংশে সরকারি নিয়োগ লাভে সুযোগের সমতা ২৯() নং অনুচ্ছেদে উল্লেখ রয়েছে-

প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ বা পদ লাভের ক্ষেত্রে সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা থাকিবে।

যেখানে বাংলাদেশের সংবিধানে সকল সরকারি চাকুরিজীবীদের সমান সুযোগ-সুবিধা ভোগের অধিকারের কথা বলা হয়েছে। সেখানে দেশের সাক্ষরতা শিক্ষার হার বৃদ্ধিতে অবদান রাখা শিক্ষকেরা সকল সুবিধা থেকে বঞ্চিত।

 

এমতাবস্থায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য অন্যান্য দপ্তর, বিভাগ বা মন্ত্রালয়ের সাথে সমন্বয় করে দ্রুত পদোন্নতি নিম্নরূপ বেতন গ্রেডের জোর দাবি করছি-

প্রধান শিক্ষক -৭ম গ্রেড/৮ম গ্রেড

সহ :প্রধান শিক্ষক -৮ম গ্রেড/৯ম গ্রেড

সিনিয়র শিক্ষক -৯ম গ্রেড/১০ম গ্রেড

সহকারী শিক্ষক-১০ম বা১১তম গ্রেড

 

[উল্লেখ্য সরকারি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ৬ষ্ঠ গ্রেড সিনিয়র শিক্ষক পদ সৃষ্টি করা হয়েছে।]

 

এই ডিপার্টমেন্ট- জনবল অনেক আমরা যদি প্রত্যেকেই মনে করি পদোন্নতির মাধ্যমে ডিজি পর্যন্ত হব। এটা কোন অবস্থাতেই সম্ভব না-আকাশ কুসুম কল্পনা ছাড়া। এভাবে পদোন্নতি দিতে থাকলে শিক্ষকদের মাঝে একটা হযবরল সৃষ্টি হবে। কেননা একই ব্যাচের প্রত্যেকেই পদোন্নতি চাইবে। এজন্য একটি বাচাই প্রক্রিয়া দরকার যা হচ্ছে বিভাগীয় পরীক্ষা।বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান), স্নাতকোত্তর বি.এড/এম.এড ডিগ্রীধারী যোগ্যতাসম্পন্ন অনেক মেধাবি শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন।যাদের বিভাগীয় প্রার্থীতার সুযোগ দিলে শিক্ষার মানোন্নয়নে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে যথেষ্ট ভুমিকা পালন করবে।

এটা করা যেতে পারে ০২(দুই) ভাগে।

১। বিভাগীয় পরীক্ষার মাধ্যমে ৫০%

২। সরাসরি পরীক্ষার মাধ্যমে ৫০%

 

আমি মনে করি এতে (তিন) পক্ষের লাভ-

() যারা মেধাবী বিভাগীয় পরীক্ষার মাধ্যমে অতিদ্রুত উচ্চ পদে পদায়িত হবেন এবং নীতিনির্ধারণী ফোরামে ফিল্ড পর্যায়ের শিক্ষকদের অসুবিধার কথা তুলে ধরার সুযোগ পাবেন।

() অন্যদিকে মেধাবীরা চলে গেলে অবশিষ্ট যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষকদের পদোন্নতির জন্য প্রতিযোগিতা কমে যাবে।

() পক্ষান্তরে সরকারও লাভবান হবে।কারণ সরকার মাঠ পর্যায়ে অর্জিত অভিজ্ঞতা যোগ্যতাসম্পন্ন জনবল পাবেন এবং সেই সাথে আংশিক বেতন বাড়িয়ে অর্থনৈতিক সাশ্রয়ও করতে পারবেন।

কিন্তু বাইরে থেকে নতুন জনবল নিয়োগ বন্ধ করতে হবে। আমি মনে করি শিক্ষক নেতাদের বিভাগীয় প্রার্থীতার বিরোধীতা না করে বাইরে থেকে নতুন জনবল নিয়োগের বিরোধীতা করা উচিত।

 

সামষ্টিক আলোচনাঃ

যারা মেধাবী বিভাগীয় পরীক্ষার মাধ্যমে উচ্চ পদে চলে যাবেন এবং অন্যরা যারা যোগ্যতাসম্পন্ন তারা পদোন্নতি পাবেন। অবশিষ্ট যারা থাকবেন তাদের জন্য গ্রেড পরিবর্তন, সিনিয়র শিক্ষক সহকারী প্রধান শিক্ষক পদ সৃষ্টি করে প্রধান শিক্ষকসহ উক্ত পদে দ্রুত পদোন্নতির ব্যবস্থা করা।

পরিশেষে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত অনুরোধ আপনারা গ্রেড, পদোন্নতি নিয়োগবিধি এমনভাবে করেন যা শিক্ষাবান্ধব সংবিধান সম্মত হয়। কোন অবস্থাতেই যেন প্রাথমিক শিক্ষকেরা বৈষম্যের স্বীকার না হয়। তাঁরা যেন ১০০% পাঠে মনোযোগী হয়ে সরকারের উন্নয়নে সহায়তা করতে পারে।

[বিঃদ্রঃ যদি লেখাটি আপনার ভালো লেগে থাকে বা যুক্তিযুক্ত মনে হয় তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন।]

ধন্যবাদান্তে

মোঃ রেজাউল করিম

সহকারী শিক্ষক

জাহেদা সাহাব উদ্দিন সঃপ্রাঃবিঃ

দেওয়ানগঞ্জ, জামালপুর।

No comments